গত মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে কনসার্ট করতে এসে প্রাণ হারান বলিউড গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাত। বৃহস্পতিবার জানা যায় তার মরদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট বলছে, কেকের হার্ট প্রায় সাদা হয়ে গিয়েছিল। হার্টের উপর পড়েছিল মেদের আস্তরণ। হার্টের ভেতরের সব ভাল্ভ শক্ত হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকদের ভাষায়, এসব ‘ফ্যাটি হার্ট’-এর উপসর্গ।
কিন্তু ফ্যাটি হার্ট কী? কাদের হতে পারে এই রোগ?
ফ্যাটি লিভার নিয়ে বর্তমানে প্রচুর আলোচনা হয়। বিশেষ করে যাদের নিয়মিত মদ্যপানের অভ্যাস আছে, তাদের অনেকেই ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগতে পারেন বলে সতর্ক করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ফ্যাটি হার্ট সম্পর্কে সচেতনতা এখনও ততটা নেই।
এই রাগে হার্টের চারপাশে মেদের একটি আস্তরণ পড়তে শুরু করে। এই আস্তরণটি একটু মোটা হয়ে গেলে শরীরের ভেতর প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। তার জেরে নানা ধরনের শারীরিক অস্বস্তি লেগে থাকে। ফ্যাটি হার্ট থাকলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাট্যাকের আশঙ্কা বাড়ে। হার্টের অন্যান্য রোগও হতে পারে।
কোন ভুলের কারণে হতে পারে ফ্যাটি হার্ট?
খাওয়াদাওয়া এবং শরীরচর্চা। এই দুদিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। এই দুটি কারণেই মূলত হয় ফ্যাটি হার্টের সমস্যা।
প্রথমে শরীরচর্চা নিয়ে কথা বলা যাক। নিয়মিত কতটা ক্যালোরি ঝরাচ্ছেন, তা খেয়াল করুন। এই অসুখটি প্রধানত জীবনযাপনের ধরনের উপর নির্ভর করে। যদি একদমই ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকে, তাহলে ফ্যাটি হার্টের আশঙ্কা বাড়ে।
এরপর ভাবতে হবে খাওয়াদাওয়া নিয়ে। শরীরচর্চা করে যত ক্যালোরি ঝরাচ্ছেন, তার চেয়ে বেশি কি অর্জন করছেন খাবারের থেকে? নিয়মিত কি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার খাচ্ছেন? তাহলে হার্টের চারপাশে মেদ জমছেই।
কীভাবে বুঝবেন ফ্যাটি হার্টের সমস্যা আছে?
ফ্যাটি হার্টের সমস্যার তেমন কোনো উপসর্গ হয় না। কিন্তু হার্ট সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে ফ্যাটি হার্ট। তবে ফ্যাটি হার্টের সমস্যা থাকলে তা ধরা পড়ে সিটি স্ক্যানে। সাধারণত ফ্যাটি হার্ট আছে কি না, তা দেখার জন্য সিটি স্ক্যান করা হয় না। অন্যান্য সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকরা বলেন, সিটি স্ক্যান করতে। তখন ধরা পড়তে পারে ফ্যাটি হার্টের সমস্যা।